বান্দরবানে বন বিভাগ শহরের বিভিন্ন কাঠের ডিপোতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান চোরাই নিষিদ্ধ চম্পা কাঠ জব্দ করেছে। তবে বন বিভাগ প্ক্ষ থেকে চোরাকারবারীর পারমিট বাতিল বা কারো মালিকরে নামে মামলা দায়ের করেনি।
সূত্র জানায়, সোমবার সকাল থেকে দুপুর পযন্ত একটানা শহরের কয়েকটি কাঠের ডিপোতে যৌথ ভাবে অভিযান পরিচালনা বান্দরবান বিভাগীয় বন বিভাগ ও পাল্পউড প্লান্টেশন । এসময় ২৩৭ টুকরায় ৮০৯ ঘনফুট নিষিদ্ধ চম্পা ফুল কাঠ আটক করে।তবে কোন মালিককে পাওয়া যায়নি
অভিযোগ রয়েছে, বান্দরবানে জোট পারমিটের আড়ালে দীর্ঘ দিন ধরে কাঠ ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের আশায় নিষিদ্ধ চম্পাফুল কাঠের ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। কতিপয় বনবিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারী যোগসোগে ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন থেকে রিজার্ভ ফরেষ্ট থেকে চম্পাফুল কাঠ পাচার করে আসছে। জেলা শহর থেকে প্রায় ৪০০ কিরোমিটার দুর রির্জাভ ফরেষ্ট থেকে বিজিবি, পুলিশ,সেনা ও বনবিভাগের কয়েকটি চেকপোষ্ট পেরিয়ে কিভাবে এত চম্পাফুল কাঠ শহরে মজুদ করা হয়েছে সে বিষয়ে বনবিভাগের কর্মকর্তারা সদুত্তর দিতে পারেনি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আটককৃত কাঠগুলো মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম (ল্যাডা জাহাঙ্গীর) বালাঘাটার শহীদ মাস্টার, শামসুল ইসলাম সানু, হাজী আহম্মদ সৈয়দ, জানে আলম ও জামালের বলে জানা গেছে । তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা আটক নিষিদ্ধ চম্পাফুলের মালিক বলে অস্বীকার করেন।
এবিষয়ে পাল্পউড প্লান্টেশন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) বিপুল কৃষ্ণ সাহা বলেন, বিভাগীয় বন বিভাগ ও পাল্পউড প্লান্টেশন বন বিভাগ যৌথ ভাগে সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন কাঠের ডিপুতে অভিযান চালিয়ে ২৩৭ টুকরায় ৮০৯ ঘনফুট চম্পা ফুল কাঠ আটক করা হয়েছে। সরকারী মূল্য প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। বেসরকারী পর্যায়ে দিগুন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্দেশনানুযায় উদ্ধারকৃত কাঠ সরকারী মূল্য এফআইডিসিতে দেয়া হতে পারে। এবং নিষিদ্ধ চম্পা কাঠ নিয়ে প্রতি সপ্তাহ অভিযান পরিচালনা করা হবে। তিনি আরো জানান উদ্ধার কৃত কাটগুলোর মালিককে খুজে না পাওয়ায় কারো নামে মামলা দায়ের করা যাচ্ছেনা। যদি নাম জানা যায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।
পাঠকের মতামত: